
শাহাদাত হোসেন, হাতিয়া প্রতিনিধি-
নোয়াখালী হাতিয়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও একজন সহকারী শিক্ষিকার অনৈতিক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছডিয়ে পড়েছে। এতে করে শিক্ষক সমাজ ও এলাকায় সচেতন মহলে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
রবিবার (১৬ আগষ্ট) রাতে ৪ মিনিট ৫০ সেকেন্ডের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যা মূহুর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়।
স্থানীয়রা বলছেন, অনৈতিক এ কর্মকাণ্ডের ভিডিও ক্লিপটি নোয়াখালী সদর পূর্ব ভাটির টেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান দুলাল ও হাতিয়া উপজেলার গুল্যাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা গুলশান আরা বেগমের।
স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, শিক্ষক হলো মানুষ গড়ার কারিগর। সেই শিক্ষকেরা কতটুকু নিছু হলে এমন অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িত হয়। সেটি আবার নিজেদের মোবাইলে ভিডিও ক্লিপ ধারন করে। তাদের সেই অশ্লীল ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে তারা শিক্ষকতার মহান পেশায় থাকার যোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছেন। আমাদের সন্তানেরা তাদের থেকে কি শিখবে। শিক্ষকতা পেশা থেকে তাদের অপসারণের দাবি জানাচ্ছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক বলেন, এটি শিক্ষক সমাজের জন্য লজ্জাস্কর বিষয়। ভিডিওর ঘটনা যদি সত্য হয় তাহলে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া দরকার। যাতে করে কোন শিক্ষক এমন অনৈতিক কাজে জড়িত হওয়ার সাহস না করে।
এ বিষয়ে জানতে পূর্ব ভাটির টেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান দুলালের মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ইসরাত নাসিমা হাবীব বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি তবে বিস্তারিত জানা নাই। আমার কাছে কোনো অভিযোগ নেই। এছাড়াও আমি ৩ দিনের ছুটিতে আছি। ছুটি শেষ করে বিষয়টি খবর নিবো। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। যদি অভিযোগ সত্য হয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।