
রাজবন্দীর জবানবন্দি বইটি বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাষ্ট নামক এক মিথ্যা মামলায় বেগম জিয়া নানা সময়ে আদালতে যে জবানবন্দি দেয় তার সংকলন। সাথে অনেক বিখ্যাত প্রখ্যাত মানুষের লেখা এবং নানা ডকুমেন্টস।
২০১৮ সালে রাজবন্দীর জবানবন্দি বই যখন আমরা প্রকাশ এবং প্ল্যান করি তখন কেউ এর ক্রেডিট নিতে আগ্রহী ছিল না, যার কারনে গুম এবং মাইর খাবার জন্য রাজন, ইভান, ওয়াসিম এবং আমি ছিলাম। আর এক আসামী শিপন মোল্লাকে ধরতে পারেনি।
২০২৪ সালে এই বই যখন আবার পুনঃপ্রকাশিত হয়, তার কিছুদিন পর ম্যাডামের তৎকালীন প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান বিরাট এক ফেসবুক ষ্ট্যাটাস দিয়ে জানায় রাজবন্দীর জবানবন্দি বইতে ম্যাডামের উল্লেখিত ভাষনগুলো নাকি উনার লেখা!
মারুফ কামাল সে সময়ে ম্যাডামের বেতনভুক প্রেস সচিব ছিল। উনার দায়িত্বের মধ্যে ছিল সে সময়ে ম্যাডামের সমস্ত ভাষন, লেখা, প্রেস রিলিজ তৈরি করে দেয়া। এর জন্যই উনি বেতন নিতেন।
এখন উনি ফেসবুক স্ট্যাটাস, এবং সাংবাদিক পরিচয় থাকার কারনে বিভিন্ন পত্রিকায় উনি নিজের মনগড়া কাহিনী ফেদে এই বই উনার লেখা বলে দাবী করছেন। অথচ বইটি যেই দেখেছেন সেই জানেন এই বইতে আদালতে ম্যাডামের ভাষনের পাশাপাশি আরো অনেকের লেখা ছবি ডকুমেন্টস সংকলিত হয়েছে।
আমি খুব পরিস্কারভাবে বলে দিতে চাই, মারুফ সাহেব ম্যাডামের ভাষন লিখেছেন কিনা জানি না, এবং ২০১৮ সালে বইটির যখন প্রথম প্রকাশ হয় তখনো উনি কোন রূপ কোন দাবী করেন নি। আজকে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে উনি এই বইর ক্রেডিট নিতে মরিয়া।
আপনাদের আরো স্মরন করিয়ে দেই যে কোন রাজনৈতিক নেতার (এক্সেপশন ব্যাতীত) ভাষন, প্রেস রিলিজ লেখার জন্য টাকার বা অন্য কোন বিনিময়ে এপয়েন্টেড মানুষ থাকে, এর মানে ওই ভাষন সেই এপয়েন্টেড মানুষের ব্যাক্তিগত সম্পত্তি না।
এই বইর সাথে সামান্যতম জড়িত প্রতিটি মানুষের ক্রেডিট আমরা বইর প্রথমে এডিটরিয়াল পাতায় নাম ধরে দিয়েছি। আজকে Zulkarnain Saer ভাই তার স্ট্যাটাসে মারুফ কামাল কে বইর লেখক এবং আমাদের যারা এই বইর কারনে গুম জেল মামলা খেয়েছি তাদের ডিষ্ট্রিবিউট হিসাবে উল্লেখ্য করেছেন যা সঠিক নয়। আমি সায়ের ভাইর স্টাটাসে তার প্রতিবাদ জানিয়ে এসেছি।
সাংবাদিক মুজতবা খন্দকার এর এক স্ট্যাটাসের কমেন্টে আমি প্রথম এই ব্যাপারটা খেয়াল করি এবং মারুফ সাহেবকে ব্যাপারটা জানালে উনি আমাকে কোন উত্তর না দিয়ে ব্লক করেন।
মারুফ সাহেব কেন ম্যাডামের প্রেস সচিব থেকে বরখাস্ত হয়েছেন সেগুলো জানলে উনার এই সুযোগ সন্ধানী স্বভাব জানতে পারবেন।
ক্রেডিট দিতে আমার বা এর সাথে জড়িতদের কোন সমস্যা নেই, কিন্তু মারুফ সাহেব যেভাবে বিভিন্ন পত্রিকায় উনার লেখা ম্যাডামের সাথে গল্প ফেদে যাচ্ছেন সে গল্প গুলো হাসিনা আমলে দেখালে খুশি হতাম।
শোভন রেজাউনুল হক
রাজনীতিবীদ,লেখন,অন-লাইন একটিভিস্ট
Post Views: ১৪
নিউজ ডেস্ক
ফয়জুল করিমকে বরিশালের মেয়র ঘোষণার আবেদন খারিজ
৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তান আক্রমণ করতে পারে ভারত’
ইরানের বন্দরে বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭০
অধ্যাপক এম এ মান্নানের ৩য় মৃত্যু বার্ষিকীতে ফাতেহা পাঠ, কবর জিয়ারত ও দোয়া অনুষ্ঠিত
*বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী অনলাইন একটিভিস্টদের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত*
রাজবন্দীর জবানবন্দি নিয়ে বিভ্রান্তি
রাজবন্দীর জবানবন্দি বইটি বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাষ্ট নামক এক মিথ্যা মামলায় বেগম জিয়া নানা সময়ে আদালতে যে জবানবন্দি দেয় তার সংকলন। সাথে অনেক বিখ্যাত প্রখ্যাত মানুষের লেখা এবং নানা ডকুমেন্টস।
২০১৮ সালে রাজবন্দীর জবানবন্দি বই যখন আমরা প্রকাশ এবং প্ল্যান করি তখন কেউ এর ক্রেডিট নিতে আগ্রহী ছিল না, যার কারনে গুম এবং মাইর খাবার জন্য রাজন, ইভান, ওয়াসিম এবং আমি ছিলাম। আর এক আসামী শিপন মোল্লাকে ধরতে পারেনি।
২০২৪ সালে এই বই যখন আবার পুনঃপ্রকাশিত হয়, তার কিছুদিন পর ম্যাডামের তৎকালীন প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান বিরাট এক ফেসবুক ষ্ট্যাটাস দিয়ে জানায় রাজবন্দীর জবানবন্দি বইতে ম্যাডামের উল্লেখিত ভাষনগুলো নাকি উনার লেখা!
মারুফ কামাল সে সময়ে ম্যাডামের বেতনভুক প্রেস সচিব ছিল। উনার দায়িত্বের মধ্যে ছিল সে সময়ে ম্যাডামের সমস্ত ভাষন, লেখা, প্রেস রিলিজ তৈরি করে দেয়া। এর জন্যই উনি বেতন নিতেন।
এখন উনি ফেসবুক স্ট্যাটাস, এবং সাংবাদিক পরিচয় থাকার কারনে বিভিন্ন পত্রিকায় উনি নিজের মনগড়া কাহিনী ফেদে এই বই উনার লেখা বলে দাবী করছেন। অথচ বইটি যেই দেখেছেন সেই জানেন এই বইতে আদালতে ম্যাডামের ভাষনের পাশাপাশি আরো অনেকের লেখা ছবি ডকুমেন্টস সংকলিত হয়েছে।
আমি খুব পরিস্কারভাবে বলে দিতে চাই, মারুফ সাহেব ম্যাডামের ভাষন লিখেছেন কিনা জানি না, এবং ২০১৮ সালে বইটির যখন প্রথম প্রকাশ হয় তখনো উনি কোন রূপ কোন দাবী করেন নি। আজকে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে উনি এই বইর ক্রেডিট নিতে মরিয়া।
আপনাদের আরো স্মরন করিয়ে দেই যে কোন রাজনৈতিক নেতার (এক্সেপশন ব্যাতীত) ভাষন, প্রেস রিলিজ লেখার জন্য টাকার বা অন্য কোন বিনিময়ে এপয়েন্টেড মানুষ থাকে, এর মানে ওই ভাষন সেই এপয়েন্টেড মানুষের ব্যাক্তিগত সম্পত্তি না।
এই বইর সাথে সামান্যতম জড়িত প্রতিটি মানুষের ক্রেডিট আমরা বইর প্রথমে এডিটরিয়াল পাতায় নাম ধরে দিয়েছি। আজকে Zulkarnain Saer ভাই তার স্ট্যাটাসে মারুফ কামাল কে বইর লেখক এবং আমাদের যারা এই বইর কারনে গুম জেল মামলা খেয়েছি তাদের ডিষ্ট্রিবিউট হিসাবে উল্লেখ্য করেছেন যা সঠিক নয়। আমি সায়ের ভাইর স্টাটাসে তার প্রতিবাদ জানিয়ে এসেছি।
সাংবাদিক মুজতবা খন্দকার এর এক স্ট্যাটাসের কমেন্টে আমি প্রথম এই ব্যাপারটা খেয়াল করি এবং মারুফ সাহেবকে ব্যাপারটা জানালে উনি আমাকে কোন উত্তর না দিয়ে ব্লক করেন।
মারুফ সাহেব কেন ম্যাডামের প্রেস সচিব থেকে বরখাস্ত হয়েছেন সেগুলো জানলে উনার এই সুযোগ সন্ধানী স্বভাব জানতে পারবেন।
ক্রেডিট দিতে আমার বা এর সাথে জড়িতদের কোন সমস্যা নেই, কিন্তু মারুফ সাহেব যেভাবে বিভিন্ন পত্রিকায় উনার লেখা ম্যাডামের সাথে গল্প ফেদে যাচ্ছেন সে গল্প গুলো হাসিনা আমলে দেখালে খুশি হতাম।
শোভন রেজাউনুল হক
রাজনীতিবীদ,লেখন,অন-লাইন একটিভিস্ট
মন্তব্য করুন
শিরোনাম
দেশের পথে বেগম জিয়া
রাজবন্দীর জবানবন্দি নিয়ে বিভ্রান্তি
দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া,নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনার জন্য কিছু নির্দেশনা
বাঁশখালীতে কিস্তির টাকা নিয়ে দ্বন্দ্ব গৃহবধূকে হত্যা
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সীমান্তে বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা
ফয়জুল করিমকে বরিশালের মেয়র ঘোষণার আবেদন খারিজ