
চাঁদাবাজি নয়,গাজীপুরে ভুল তথ্যের ভিত্তিতে আলোচনার বৈঠক থেকে রবিবার সন্ধ্যায় যৌথবাহিনীর অভিযানে আটক হয়েছিল যুবদল ও ছাত্রদলের ১০ নেতাকর্মী। পরে বাদীর অভিযোগ না থাকায় থানা থেকে রাতেই তাদের ছেড়ে দেয় পুলিশ। জানা যায়, গাজীপুর মহানগরীর পোড়াবাড়ি এলাকার সৃজনী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতিতে মাঠকর্মী (ঋণকর্মী) পদে চাকরি করতেন রংপুরের মো. শাহীন মিয়া। চাকরিতে যোগদানের সময় সমিতির মালিক তার নিকট থেকে জামানত হিসেবে একটি খোলা চেক নিয়েছিলেন। অন্যত্র চাকরি নিয়ে চলে যেতে চাইলে বিভিন্ন ঋণ গ্রহীতার মাঝে বিতরণকৃ ত ১০ লাখ টাকা শাহীন মিয়াকে ফেরত দিতে বলেন সমিতির মালিক এ কে এম মহিবুল আলম। ওই টাকা ফেরত না দিলে তিনি জামানতের চেকে ১০ লাখ টাকা লিখে আদালতে চেক ডিজঅনারের মামলা দায়ের করেন।
রবিবার বিকেলে শাহীন মিয়া তার এক আত্মীয়ের মাধ্যমে স্থানীয় কয়েকজন আত্মীয়সহ ১০ ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকে নিয়ে বিষয়টি আপস-মীমাংসার জন্য সমিতি কার্যালয়ে যান।
আলোচনার বৈঠক চলাকালে ওই সমিতির মালিকের ভাই, এক সেনা কর্মকর্তা, রদ্যিাব ও সেনাবাহিনীর একটি দল নিয়ে এসে কাউকে কিছু না জানিয়ে ওই ১০ জনকে আটক করে নগরীর সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। এই ঘটনাটি মিডিয়ায় তাৎক্ষণিক ‘চাঁদাবাজির অভিযোগে ১০ বিএনপি নেতাকর্মী আটক’ হিসেবে প্রচার হয়। এতে দলে এবং জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। এনজিও মালিক মহিবুল আলম জানান, ঘটনাটি ছিল ভুল বোঝাবুঝি। চাঁদাবাজির কোনো ঘটনা ঘটেনি। শাহীন মিয়ার সাথে তার আপস-মীমাংসা হয়েছে। শাহীন মিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা তিনি প্রত্যাহার করে নিবেন। গাজীপুর মহানগর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেহেদী হাসান জানান, সৃজনী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির মালিক মামলা করতে রাজি না হওয়ায় এবং তদন্তে চাঁদাবাজির অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় রবিবার রাতেই আটককৃতদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে।