গত ১২ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ দি ফাইন্সিয়াল টাইমস এর তথ্যচিত্র প্রতিবেদনে কুখ্যাত খুনি ফ্যাসিস্ট হাসিনার সরকারের ১৫ বছরের ২৩৪ বিলিয়ন ডলার পাচারের ভয়াবহ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে সম্ভবত পৃথিবীর ইতিহাসে এটিই হলো কোন দেশ থেকে সবচেয় বেশি/ বড় অর্থ পাচারের ঘটনা । গতকাল ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ দেশের অনলাইনসহ বিভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়া ও আকাশ মিডিয়া ব্রিটিশ দি ফাইন্সিয়াল টাইমস এর বরাত দিয়ে খবরটি প্রচার করেছে। ১৫ বছরে ২৩৪ বিলিয়ন ডলার অর্থাৎ প্রতি বছর ১৫.৬ বিলিয়ন ডলার চুরি করে পাচার করেছে। চুরি করে বিদেশে না পাঠিয়ে দেশে রাখলে দেশের মানুষ ইন্ডাইরেক্টলি তার সুফল পাইতো।
একটু গভীরভাবে চিন্তা করে দেখুন, দেশের রিজার্ভ যখন ৪২ বিলিয়ন ডলার হয়েছিলো তখন লাফালাফি করেছিলাম উন্নত দেশ হয়ে গেছি সেই খুশিতে, ২৩৪ বিলিয়ন ডলার চুরির পরেও যদি পাচার না করে দেশে রাখতো আর আয়না ঘর, গুম, গনহত্যা না করতো, তাহকে কি হইতো? কথিত জাতীয় আপুকে চৌদ্দ গোষ্ঠীসহ পলায়ন করে ভারতে মোদির নিকট যাইতে হইতো না। ধারাবাহিকভাবে ক্ষমতায় না থাকলেও তার অনুসারীসহ কিছু সংখ্যক লোভী পাপিষ্ঠরা তাকে দেশের ভেতরই পূর্জা করতে পারতো। যদিও এদেশের যতটুকু অর্জন তার অধিকাংশই কিছু সংখ্যক উদ্দোক্তানামক নাগরিকদের ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় আর অধিকাংশ সরকার উন্নয়নের নামে তাদের অর্জিত অবদানকে চুরি করে দেশের জনগণের কাঙ্ক্ষিত মোলিক চাহিদা পূরনে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে আর কথিত জাতীয় আপু মেগা উন্ময়নের নামে মেগা চুরি করেছে। আবারও বলছি ৪২ বিলিয়ন ডলারে রিজার্ভে জনগণ তুলনামূলক অনেক ভাল ছিলো যদি ২৩৪ বিলিয়ন পাচার না হয়ে দেশে থাকতো তাহলে এর সুফল দেশের জনগণ কি পরিমান পাইতো? চুরি করেও দেশে রাখলে বৈষম্য বাড়তো ঠিকই কিন্তু তারপরেও সাধারন জনগনের অসহ্য কষ্ট ভোগ করে বর্তমানে বোকা কান্না করা লাগতো না ।
কিন্তু ওরা দেশে রাখেনি কারন ওরা জানতো যে পরিমান আকাম করতেছে জনগণ কোন একদিন দেশ থেকে তাড়াইবে। তাই শুধু সরকার নয়, চৌদ্দ গোষ্ঠী পালিয়ে যেতে হয়েছে। দেশের এত বড় সর্বনাশ করার পরেও আমাদের ভয়াবহ দূর্ভিক্ষ কবলে পরতে হয়নি বরং কোন রকম বেঁচে আছি তার জন্য আল্লাহর নিকট শুকরিয়া । কোন সরকারের শীর্ষ নেতারা যখন বলে আমরা ক্ষমতায় না থাকলে একরাতে ২/৩ লাখ নেতা কর্মী মারা যাবো অথচ গনহত্যা চালিয়ে চৌদ্দ গোষ্ঠী পলায়নের পর প্রশাসনবিহীন দেশে শুধু দেশপ্রেমিক কিছু সংখ্যক জনগন আর বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের কারনে কিছুই হয়নি।৫ আগষ্টের পরে বিএনপি কিন্তু প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে আওয়ামিলীগের লোককে হত্যা করেনি বরং ১৭ বছর ভিন্ন মতের কারনে অত্যাচারিত এবং হাসিনা থেকে প্রাপ্ত ফ্যাসিস্ট চরিত্র প্রয়োগ করে নৈরাজ্য, চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠায় বিএনপির প্রায় ১০ হাজার নেতাকে বহিষ্কার করেছে। এমনকি কোন মবকে সমর্থন না দিয়ে দলীয়ভাবে বিরোধিতা করা হয়েছে যার ফলে চরম ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও তার দলের উপর প্রচন্ডভাবে ক্ষিপ্ত অনেক মেধাবী জেন জি প্রজন্ম বিএনপির উপর রাগান্বিত কারন বিএনপি ৫ আগষ্টের পর পরই বিএনপির কিছু দেশপ্রেমিক নেতা বলেছিলো, অন্যায়কারীর বিচার চাই কিন্তু অপরাধী দল হিসেবে কোন দলকে শাস্তি দিবে কি না? তাহা নিধারিত হবে দেশের জনগনের সুষ্ঠ নিবার্চনে ভোটের মাধ্যমে। সেই বক্তব্য সদ্য শত শত ভাই হারনো দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের মেধাবি জেন জি,দের অনেকের মনোপূত হয়নি যার ফলশ্রুতিতে জেন জি প্রজন্মের ভোটের রায়ে প্রতিফলিত হয়েছে অর্থাৎ বিএনপি ফ্যাসিস্ট চৌদ্দ গোষ্ঠী নিয়ে পলায়নের পর পরই দেশের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে প্রতিশোধের মানসিকতা শুরু থেকে পরিহার এবং আগামীর একটি স্বচ্ছ গণতান্ত্রিক মানবিক রাষ্ট্র বিনির্মানে দেশের অরাজকতা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনকে , নৌকা আর ধানের শীর্ষ দুই সাপের একই বিষ ইত্যাদি ট্যাগ লাগিয়ে প্রতিদন্ধি রাজনৈতিক দল কতৃক ফায়দা নেওয়ার অপচেষ্টা আর গুজব, বিএনপি নাম ভাঙ্গিয়ে কিছু সংখ্যক নেতা কর্মী হাসিনা থেকে প্রাপ্ত ফ্যাসিস্ট চরিত্র প্রয়োগের চেষ্টা দিয়ে বিএনপিকে দেশের সাধারন জনগন বিচার করে না, তাহারা শহীদ জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার আদর্শ, দেশপ্রেম, ব্যক্তিত্ব এবং বর্তমানে জনাব তারেক রহমানের বক্তব্য ও নেতৃত্ব বিচার বিশ্লেষণ করেই সর্বোচ্চ সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে, যাহা আগামী জাতীয় সংসদে নির্বাচনে স্পষ্ট হবে ইনশাআল্লাহ। সবশেষে বলছি, ডাকসুসহ দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠগুলোর অতীত ইতিহাস পর্যালোচনা করে দেখুন, সুষ্ঠু নির্বাচনে প্রভাবশালী এবং শক্তিশালী কোন সংগঠন কখনো দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করেনি।
অতএব দেশের স্বাধীনতাকামী শান্তিপ্রিয় জনগণ সব সময় দেশ ও জন কল্যাণের স্বার্থে সুষ্ঠু নির্বাচনে বিএনপি উপর বিশ্বাস রেখেছে আগামী জাতীয় সংসদে নির্বাচনেও তার ব্যতিক্রম হবে না। ইনশাআল্লাহ্
এস,এম কামাল হোসেন
লেখক ও রাজনীতিবীদ।