১৬ই ডিসেম্বর: বীর শহিদের রক্তে রঞ্জিত বিজয়, শহিদ জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে গণতন্ত্রের অভিযাত্রা

১৬ই ডিসেম্বর—বাঙালি জাতির ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয়, গৌরবময় দিন। দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম, অগণিত ত্যাগ আর সীমাহীন আত্মদান শেষে এই দিনে আমরা অর্জন করেছি কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা। লাখো শহিদের রক্তের বিনিময়ে জন্ম নেওয়া এই বাংলাদেশ আজও তাদের আত্মত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত।

মহান মুক্তিযুদ্ধে যারা জীবন উৎসর্গ করেছেন—সেই বীর শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও বিনম্র সালাম। তাঁদের রক্তে রঞ্জিত পথ ধরেই আমরা পেয়েছি একটি লাল-সবুজ পতাকা, একটি স্বাধীন ভূখণ্ড। তাঁদের ত্যাগ কখনো ভুলবার নয়, ভুলে থাকারও অধিকার আমাদের নেই।

এই মহান বিজয়ের ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ কালরাতে তাঁর ঐতিহাসিক স্বাধীনতার ঘোষণা জাতিকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে অনুপ্রাণিত করেছিল। সম্মুখ সমরে একজন সাহসী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তাঁর নেতৃত্ব, দৃঢ়তা ও দেশপ্রেম মুক্তিযুদ্ধের গতিপথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

স্বাধীনতার পর এক ক্রান্তিলগ্নে শহিদ জিয়াউর রহমান জাতিকে দিয়েছিলেন বহুদলীয় গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতার পথনির্দেশনা। তিনি বিশ্বাস করতেন—জনগণই রাষ্ট্রের মালিক। সেই বিশ্বাস থেকেই তিনি গড়ে তুলেছিলেন একটি স্বনির্ভর, মর্যাদাশীল ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের স্বপ্ন।

মহান বিজয় দিবসে আজ আমাদের শপথ হোক—বীর শহিদদের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে এবং শহিদ জিয়াউর রহমানের দেশপ্রেম, সততা ও গণতান্ত্রিক চেতনাকে ধারণ করে আমরা একটি ন্যায়ভিত্তিক, মানবিক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলব।

বিজয়ের এই দিনে সকল বীর শহিদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।
শোষণ–বঞ্চনার বিরুদ্ধে সংগ্রামে
সত্য ও ন্যায়ের বিজয় অনিবার্য।
গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায়
গণতন্ত্রই আমাদের একমাত্র পথ।

এই লাল-সবুজের দেশে
মিথ্যা পরাজিত হোক,
ন্যায় মাথা উঁচু করে দাঁড়াক।
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।

লেখক:
গাজী সালাহ্উদ্দিন
সাধারণ সম্পাদক
টঙ্গী পূর্ব থানা বিএনপি

Facebook
X
WhatsApp

মন্তব্য করুন