
আওয়ামী লীগকে দল হিসেবে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করা, জুলাই সনদ প্রকাশ এবং আহতদের সুচিকিৎসার দাবিতে শাহবাগ মোড়ে অবস্থানরত জুলাই আন্দোলনের আহতরা জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। রবিবার রাত ১০টায় সেখান থেকে সরে যান তারা। এর ফলে শাহবাগ মোড় দিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
রোববার (১১ মে) রাত ১০টায় পরে শাহবাগ মোড় ছেড়ে দিলে যানচলাচল স্বাভাবিক হতে থাকে।
আওয়ামী লীগকে দল হিসেবে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করা ও জুলাই সনদ প্রকাশ এবং সুচিকিৎসার দাবিতে শনিবার থেকে শাহবাগে অবস্থান নেয় জুলাই আন্দোলনে আহতরা।
আন্দোলনের দুইদিন এখানেই রাত কাটায় আহতরা। রোববার রাত ৯টার দিকে পুলিশ এসে প্রথমে শাহবাগ মোড়ের গুরুত্বপূর্ণ চারটি সড়কের ব্যারিকেড তুলে দেয়। এসময় শাহবাগ মোড়ের মাঝখানে বসে থাকা আহতরা জাদুঘরের সামনে চলে যান। এরপর যানচলাচল শুরু হয়।
আন্দোলনরতরা বলছেন, আওয়ামী লীগকে দল হিসেবে নিষিদ্ধ করতে হবে। জুলাই সনদ প্রকাশ ও আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। এসব দাবিতেই মূলত তারা এখনো অবস্থান নিয়ে আছেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঘোষণার দাবি করে আহতরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, দালালি এবার বন্ধ করতে হবে, দালালির দিন শেষ। বিচারকার্য সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ, তার পরে তারা কী আমাদের সঙ্গে ডাঙ্গুলি খেলবে? বাংলাদেশ থেকে দুই শব্দ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হবে। ‘আওয়ামী লীগ’ তারপর ‘নিষিদ্ধ’। এর আগে বা পরে কোনো যদি-কিন্তু থাকবে না।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহতরা আরও বলেন, আমাদের ২ হাজার ভাই শহীদ এবং ৩৫ হাজার আহত ভাই বিভিন্ন জায়গায় অবহেলিত ও নির্যাতিত। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আমাদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়েও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না করে সুশীলতা দেখায়। এখনও আওয়ামী লীগকে পূর্ণাঙ্গভাবে নিষিদ্ধ এই সরকার করতে পারে নাই। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার সদিচ্ছা থাকলে গত আগস্টেই আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হয়ে যেত। জুলাইয়ের ঘোষণাপত্রও জারি হয়ে যেতো।