জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মধ্যে শাপলা প্রতীক নিয়ে বিরোধ নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে। ইসি’র জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, কমিশনের তালিকায় শাপলা নেই এবং ১৯ অক্টোবরের মধ্যে এনসিপিকে বিকল্প প্রতীক জানাতে হবে, না হলে কমিশন নিজ উদ্যোগে প্রতীক নির্ধারণ করবে।
এই ঘোষণার পরপরই এনসিপির শীর্ষ নেতারা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁরা ইসি’র সিদ্ধান্তের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং শাপলা প্রতীক বরাদ্দের দাবিতে সরব হন।
দলটির যুগ্ম সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম মুসা ফেসবুক পোস্টে লেখেন, বিষয়টি কেবল প্রতীকের নয়, বরং নির্বাচন কমিশনের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং আইনের শাসনের বিষয়। তিনি অভিযোগ করেন, ইসি আইন না মেনে নিজের ইচ্ছামতো সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। একইসাথে তিনি প্রশ্ন তোলেন—ইসি কি জনগণের কাছে জবাবদিহি করবে, নাকি রাজনৈতিক চাপের কাছে নত হবে?
মুসার এই পোস্টে সমর্থন জানিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে শেয়ার করেন এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ ফেসবুকে লেখেন, “এনসিপি শাপলাই পাবে।”
উল্লেখ্য, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সম্প্রতি এনসিপিকে নিবন্ধন দেয় নির্বাচন কমিশন। কমিশন তাদের তালিকাভুক্ত ৫০টি প্রতীকের মধ্য থেকে একটি বেছে নিতে সময় বেঁধে দিলেও, এনসিপি শাপলার দাবিতে অনড় থেকে নিয়ম সংশোধনের দাবি জানায়। ইসি সচিবের কঠোর বক্তব্যের মধ্য দিয়ে এই বিরোধে নতুন মোড় দেখা দিয়েছে।