বিএনপি’র অন-লাইন একটিভিস্টদের সম্মানে ইফতার মাহফিল সমালোচনার ঝড়!

গত ১৭ই মার্চ গুলশাবের লেকশোর হোটেলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির উদ্যোগে অন-লাইন একটিভিস্টদের সম্মানে ইফতার এর আয়োজন করেন।

উক্ত অনুষ্ঠানে মূলত অন-লাইন একটিভিস্টদের ৯০% সদস্য অনুপস্থিত ছিলেন।এছাড়াও উক্ত অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করে স্বৈরশাসক ফ্যাসিষ্ট হাসিনা পলায়নের পরের একটি সংগঠন জিয়া সাইবার ফোর্স-জেডসিএফ নামক সংগঠন।এরা দীর্ঘ দিন আওয়ামী লীগের সাথে আতাত করে চলেছে এবং দলের পক্ষে অন-লাইন বা রাজপথ কোথাওই ছিলেন না।

এ বিষয় নিয়ে গোটা অন-লাইন বিভক্ত হয়ে গিয়েছে এর মধ্যে একটি হচ্ছে প্রকৃত জাতীয়তাবাদী অন-লাইন একটিভিস্টদের উক্ত অনুষ্ঠানে দাওয়াত করা হয়নি।
দ্বিতীয়টি হচ্ছে ফ্যাসিষ্ট হাসিনা আমলে জিয়া সাইবার ফোর্স নামক যে সংগঠনটি জেল,জুলুম,গুম,হত্যার শিকার হয়েও রাজপথ ও অন-লাইনে ছিল তাদের মূল্যায়ণ করা হয়নি।কৃষকদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল সংগঠন এর সকল বিষয়ে অবগত থেকেও নিরবতা পালন প্রকৃত সংগঠন জিয়া সাইবার ফোর্স এর নেতৃবৃন্দকে হতাশ করেছে।
এ বিষয় নিয়ে ফেসবুকে অনেকেই লিখেছেন।দৈনিক জগৎকন্ঠ কিছুটা তুলে ধারার চেষ্টা করেছে মাত্র।

রেবেকা আনসারী রেবেকা তার ফেসবুক ওয়ালে লিখেছেন-

আসসালামু আলাইকুম।
বহু বছর বিএনপি রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলাম বিনা স্বার্থে । কিন্তু রাজনীতিকে টাকা-ব্যবসা বাগানোর সিঁড়ি হিসাবে নিতে পারিনি, রাজনীতিতে ব্যক্তিপুজা, ভাই বন্দনা করতে পারিনা বলেই রাজনীতি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছি। তবে রাজনীতি মনস্কামনা থেকে বের হতে পারিনি। শহীদ জিয়া, বেগম খালেদা জিয়া কেবল আমার হৃদয়ে দুর্বলতম স্থানই নয় বরং বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি বিশেষ আদর্শের প্রতীকী হয়ে আছে হৃদয়ে।
পারিবারিক ও শারীরিক নানান সংকটের মধ্যেও,, সোশ্যাল মিডিয়ায় তথা ফেসবুকে সক্রিয় বহু বছর। তাই প্রিয় দলের হাল হকীকত সব সময় লক্ষ্যবস্তু। কোন নেতা, কোন কর্মীদের কেমন কর্মযজ্ঞ তা দেখি। কিছু না বললেও বিশ্লেষণ করি একান্তে । বিএনপি দলের পেছনে নানাবিধ নেতিবাচক আলোচনা, সমালোচনা যেনো নিত্য সঙ্গী এবং এসব অপকর্মের নায়ক বিএনপির এক শ্রেণীর নেতা কর্মী। এর মধ্যে বর্তমান আলোচনা সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে জিয়া সাইবার ফোর্স (জেড সি এফ) নামের একটা সংগঠনের কিছু ব্যাক্তিত্বও জড়িত ।

এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জনৈক ফাইজাল এস খান এবং সাধারণ সম্পাদক কে এম হারুন । এই সংগঠনের কাজের চাইতে কাইজ্জাই প্রধান। উল্লেখ্য সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক ২০১৮ সালের প্রথম দিক পর্যন্ত একসাথে ছিলেন। ২০১৮ সালে সংগঠনের সভাপতি নিজেই ঘোষণা দিয়ে সংগঠন এবং বিএনপির সাথে সকল সংপৃক্ততা ত্যাগ করে স্বেচ্ছায় চলে গেলেও সাধারণ সম্পাদক হারুন ভাই সংগঠনটি চালিয়ে নিয়েছেন। তিনি জেল জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তবুও সংগঠন এবং বিএনপির সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করেননি বরং দলের খারাপ সময়ও আরও বেশী সক্রিয় থেকেছেন।

অন্যদিকে লন্ডন প্রবাসী অবসরপ্রাপ্ত স্কোড্রন লিডার ওয়াহিদুন নবী এবং জনৈক জুল আফরোজ প্রধান সমন্বয়ক, উপদেষ্টা নামে বিবৃতি দিতেন। ওয়াহিদুন নবী ছিলেন ম্যাডামের সিকিউরিটি সেলের সদস্য। তার সহযোগী মীর জাহান সাহেব । কিন্তু লন্ডনে যেয়ে তিনিই হন জনাব তারেক রহমানের এক নম্বর শত্রু। নবী সাহেব তারেক রহমানকে গত পাঁচ বছর যেভাবে নির্মম নোংরা কুৎসিত সমালোচনা করেছেন তার সাথে একমাত্র স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সমালোচনাকেই তুলনা করা যায়। ২০২৪ সালের নির্বাচনের পর নবী সাহেব আবার বিএনপি তে আসক্ত হন। ৫ আগস্ট ২০২৪ সালে গণ অভ্যুত্থানের পর ফাইজাল এস খান হুংকার দিয়ে মাঠে উপস্থিত। সোশ্যাল মিডিয়ায় অত্যন্ত বিতর্কিত, ফাইজাল এস খান (নাফিস ওয়াহীদ) অনলাইনের কয়েকজন পরিচিত মুখকে বিভিন্ন ভাবে তার পক্ষে নিয়েছেন কিনা জানি না । উনার বাবা দুইবার ধানের শীষের প্রার্থী হয়ে জামানত হারিয়েছেন। আবারও তার নমিনেশন পাওয়ার জন্যই কি এই শো অফ করেছেন⁉️ দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ একঝাঁক অনলাইন এক্টিভিস্টদের মধ্যে বিভক্তির দেয়াল তুলে দিয়েছেন।

১৭ই মার্চ গুলশান লেকশোর হোটেলে মহা ধুমধাম করে জিয়া সাইবার ফোর্স (জেড সি এফ) নামক সংগঠনের ব্যানারে ইফতার পার্টির আয়োজন করেন। অনুষ্ঠানের নেতৃত্ব দেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। যেখানে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, মহাসচিব ছাড়াও আরও অনেক ঊর্ধতন নেতারা উপস্থিত ছিলেন। অথচ যে সংগঠনটিকে মহা দুর্দিনে জেল জুলুম উপেক্ষা করে কে এম হারুন গং সক্রিয় রেখেছিলেন তারা উপেক্ষিত হয়েছেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, মহাসচিব এবং অন্যান্য সিনিয়র নেতাদের এ কেমন নেতৃত্ব?সম্মানিত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, মহাসচিব, সালাউদ্দিন টুকু, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী অ্যানি, শহিদুল ইসলাম বাবুল ভাই এনারা কি বুঝতে পারছেন না – এহেন কার্যকলাপের জন্য সাধারণ নাগরিকদের কাছে দলের গ্রহনযোগ্যতা কোথায় গিয়ে পৌঁছুচ্ছে ⁉️ ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাহেবের প্রতিদিনকার ভিডিও বক্তব্য কেউ মনোযোগ দিয়ে শোনে কি না, সেইসব বক্তব্য শুনে দেশের মানুষকে বিন্দুমাত্র উজ্জীবিত করেন কি না নেতা কর্মী – ভেবে দেখার অনুরোধ করছি। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল জুড়ে সকলের হৃদয় বিষিয়ে যদি বিএনপি সম্মুখে এগুতে পারে তবে একজন নিবেদিত সমর্থক হিসেবে বিএনপির জন্য প্রাণ ঢালা আশীর্বাদ রইলো।

অনুরোধ গুণীদের সমন্বয় করুন, ত্যাগীদের সমন্বয় করুন, আপামর সমর্থকদেরও সমন্বয় করুন। দলের ভঙ্গুর পরিস্থিতি থেকে দৃঢ় অবস্থানে নিয়ে আসুন। সবাই মিলেই একটা দল। গুটিকয়েক নিয়ে দল হয় না।

সুসময়ে সুবিধা ভোগীদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখবেন,, আশা করবো। দলের নিকট প্রত্যাশাতো একটাই,, ক্ষুদ্র স্বার্থ থেকে বেরিয়ে বৃহত্তর স্বার্থে ত্যাগীদের সঠিক সময়ে উপযুক্ত মূল্যায়ন করবেন ।

[ বিঃ দ্রঃ – উদ্দেশ্য ব্যাক্তি স্বার্থের উর্ধ্বে বিএনপির সুষ্ঠু রাজনীতির প্রত্যাশা। আমার অভিমত আমি তুলে ধরেছি। ]

মোহাম্মদ আলফাজ দেওয়ান তার ফেসবুক ওয়ালে লিখেছেন-

২ নাম্বারি করে কেউ সফল হতে পারেনি কোন দিন।
হতে পারে সাময়িক বিজয়।
১৯৭১ সালে শেখ মুজিব জাতিকে সংঘবদ্ধ করেছিলেন ঠিকই কিন্তু জাতির কঠিন মূহুর্তে এসে সে পালিয়ে গিয়েছিল পাকিস্তানে, লোক দেখানো কারাগারে ছিলেন রাজকীয় ভাবে।
স্বাধীনতার পর দেশে ফিরে দাম্ভিকতা দেখিয়েছেন দেশের জনগনকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে।অভাব অনটন দূর্ভিক্ষের সৃষ্টি করেছেন।
অবশেষে ১৫ই আগষ্ট ১৯৭৫ইং সালে করুন পরিণতি হয়েছিল তার।
দীর্ঘ বিরতি দিয়ে শেখ মুজিব কণ্যা ক্ষমতা কুক্ষিগত করে অত্যাচার অন্যায় অবিচার করে গনতন্ত্রকে পায়ে দলে চরম পর্যায় নিয়ে গিয়েছিল দেশ।
তার পরিবারের লোকজন ছাড়া ১৯৭১ রে আর কেউ কোন অবদান রাখেনি এমনটাই দেখে এসেছিল গোটা জাতি। বিবৃত ইতিহাস তুলে ধরেছে।
কিন্তু সেই ফ্যাসিষ্ট হাসিনারও করুন পরিণতি হলো।পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়ে ছিল এই দেশ থেকে।
কথা হচ্ছে,
আওয়ামী ফ্যাসিষ্ট সরকারের বিরুদ্ধে অন-লাইনে বা রাজপথে যারা লড়াই করেছে আজ তারা নিগৃহীত।
আর
দীর্ঘ ৬ বছর অন-লাইন বা রাজপথে না থেকেও ওরা আজ বড় এক্টিভিস্ট।আজ যে ফাইজাল খান কে নিয়ে বা যে জিয়া সাইবার ফোর্স-জেডসিএফ নিয়ে আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে সে সংগঠন এর যাত্রা ফ্যাসিষ্ট হাসিনা পলায়নের পর।হ্যা অবশ্যই স্বীকার করতে হবে দীর্ঘ ১০বছর জিয়া সাইবার ফোর্স নাম যে সংগঠন তার শুরু ছিল সামির রায়হান ও ফাইজাল খান দিয়েই।কিন্তু ফাইজাল খান ২০১৮ সালে অন-লাইন ও রাজপথ থেকে গুটিয়ে নিয়ে ছিলেন নিজেকে এই ভেবে, বিএনপি কোন দিন ক্ষমতায় আসবে না ভেবে।অথচ ওরাই আজ শেখ মুজিব হয়ে আবির্ভাব হয়েছে।

আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল করি।এই দল আমাকে বা আমার পরিবার কে চিঠি লিখে বা অনুনয় বিনয় করে দলে নেয়নি।ঘুরতে ঘুরতে ভালবেসে এই দলে এসেছি, একদিন হারিয়েও যাবো।
তবে বিশ্বাস করি এখন যারা নেতাদের পদলেহন করছে,টাকা দিয়ে ভালোবাসা নিচ্ছে সময়ের স্রোতে হারিয়েও যাবে।
তবুও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সাথে ছিলাম আছি থাকবো।

মনিরা খান তার ফেসবুক ওয়ালে লিখেছেন-

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যদি মিছিল, মিটিং ও দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন তবে তা নিজ দায়িত্বে করবেন।

অনলাইনে দলের পক্ষে কলম চালাবেন,, সেটাও নিজ দায়িত্বে করবেন।

আপনার কিছু হয়ে গেলে, দল থেকে কোন সাহায্য সহযোগিতা পাবেন সে আশাও করবেন না।

এইটা বাংলাদেশের রাজনীতি ,,,,, এইখানে আপনার দলীয় আদর্শ,আবেগ অনুভূতি, আপনার ত্যাগ এর কোন মূল্য নেই।
যা আছে তা হলো চাটুকারিতা,তোষামোদিতা,আর টাকার খেলা।

সো ,,যার যার ক্যারিয়ারের দিকে নজর দিন ,,, পরিবারের যত্ন নিন, পরিবারকে সময় দিন,,,আর আর্থিক স্বচ্ছলতা নিশ্চিত করুন।

আরে ভাই টাকা থাকলে বাঘের দুধ পাওয়া যায় ,,,,আর এতো দলীয় পদবী,,,, টাকা এমনি জিনিস যা আপনাকে আওয়ামী থেকে খাঁটি বিএনপির কর্মী, নেতা বানিয়ে দেবে।

“””মিছিলের পেছনে থাকা ছেলেটাও দলীয় পরিচয় পাবে,””
নেতৃত্ব দিন,, নেতৃত্ব বুঝে নিন,,,,,এইসব বয়ান ভুলে যান ।

আপনি বিগত দিনে কি করেছেন,,তা আজকের বিবেচনা তে অতীত।

বিএনপি আওয়ামীলীগ বা জামায়াত না যে ,,, আপনার অবদান কে সে মূল্যায়ন করবে।
উদাহরন ,,আরজান ইভান ভাই ও তার ক্যারিয়ার ও তার পরিবার।
সময় হলে,,আরজান ইভান ভাইয়ের ইতিহাস ঘেঁটে দেখার অনুরোধ রইল,,,,আমার কথা বিশ্বাস না হলে।

পরিশেষে,,,তালে তাল মিলান ,,,আর সুবিধা মত সময়ে নেতাদের পেছনে সময় দিন,শ্রম দিন, অর্থ দিন ,,, আশা করি উত্তম প্রতিদান পাবেন।
রাজপথে বা অনলাইনে আপনার সময় ,শ্রম ও অর্থ লগ্নি করে , জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নেতা হয়ে যাবেন ,,,সে আশা সিন্ডিকেটের দেয়ালে প্রতিধ্বনিত হয়ে ফিরে আসবে।

বয়ান দান কারী ,,, নেতা পর্যন্ত পৌঁছাবে না।

এডভোকেট আরিফা সুলতানা রুমা কয়েকটি ছবি পোস্ট করে লিখেছেন-

এরা কারা???
অনলাইন অ্যাকটিভিস্টের ইফতার মাহফিলে দাওয়াত পায়।।
বিগত ১৮ বছর যারা রাজপথ এবং অনলাইনে আন্দোলনে ছিলো তারা দাওয়াত পায় না।।
৫ আগষ্টের পরের নব্য বিএনপিরা এখন বড় অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট।।

জগৎ শেঠ আইডি থেকে লিখেছেন-

zia cyber force  এর জন্ম এবং বিকাশে Sameer Rayhan (ব্ল্যাক ফাইটার) -এর ভূমিকা ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তিনিই সংগঠনের পরিকল্পনা, দিকনির্দেশনা এবং কৌশলগত নেতৃত্ব দিয়েছেন, যদিও জনসমক্ষে ফাইজাল এস. খান (Nasif Wahid) ছিলেন দৃশ্যমান মুখ।

মূল বিষয়গুলো:

1. Zia Cyber Force-এর প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা:

সংগঠনটি প্রথমে “We Revolt” নামে শুরু হয়েছিল, যা পরে Zia Cyber Force নাম নেয়।

Sameer Rayhan ছিলেন সংগঠনের প্রকৃত স্থপতি, যিনি কৌশলগত নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং সংগঠনকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

ফাইজাল এস. খান কেবল প্রকাশ্যে সংগঠনের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেছেন, কিন্তু মূল সিদ্ধান্ত ও কার্যক্রম Sameer Rayhan-এর পরিকল্পনায় পরিচালিত হয়েছে।

2. ফাইজাল এস. খানের আত্মগোপন ও প্রত্যাবর্তন:

২০১৮ সালের পর ফাইজাল এস. খান আত্মগোপনে চলে যান, অর্থাৎ তিনি সংগঠন থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন।

৫ আগস্টের পর তিনি আবার ফিরে এসে Zia Cyber Force পুনর্গঠনের চেষ্টা করেন, কিন্তু ব্যর্থ হন।

পরে তিনি Zia Cyber Force – ZCF নামে একটি নতুন সংগঠন দাঁড় করানোর চেষ্টা করেন, যা মূল সংগঠনের ছায়া মাত্র।

3. Zia Cyber Force দখলের চেষ্টা ও বিতর্কিত কর্মকাণ্ড:

ফাইজাল এস. খান নিজেকে প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে জাহির করতে নানা প্রচারণা চালান।

বিভিন্ন সময় সংগঠনের নেতাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার চালান।

অর্থ সংক্রান্ত দুর্নীতি ও প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে কয়েকজন সিনিয়র নেতার টাকা আত্মসাৎ করা।

ব্যক্তিগত স্বার্থে Zia Cyber Force ধ্বংসের চেষ্টা করেন, কিন্তু ব্যর্থ হলে নিজেই নতুন সংগঠন প্রতিষ্ঠার দিকে যান।

সংগঠনের প্রকৃত উত্তরাধিকার:

একটি সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা হওয়া শুধু নামের ব্যাপার নয়, এটা কাজের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হয়। Sameer Rayhan-এর অনুপস্থিতিতে সংগঠন টিকে থেকেছে এবং পরিচালিত হয়েছে, কিন্তু ফাইজাল এস. খান ছাড়াই সংগঠন কার্যকর থেকেছে। অর্থাৎ, সংগঠনের মূল ভিত্তি ছিল Sameer Rayhan-এর পরিকল্পনা ও নেতৃত্ব, ফাইজাল খান শুধু একজন সাময়িক মুখপাত্র ছিলেন।

উপসংহার:

Zia Cyber Force -এর প্রকৃত উত্তরাধিকার Sameer Rayhan-এর নেতৃত্বাধীন দলটির হাতেই রয়ে গেছে, কারণ সংগঠনের ভিত্তি, আদর্শ ও পরিচালনার মূল কাঠামো তার হাতেই তৈরি হয়েছিল। ফাইজাল এস. খান-এর নতুন সংগঠন (ZCF) মূল সংগঠনের ছায়ামাত্র, যা প্রকৃত Zia Cyber Force নয়।

বিএনপির বিরুদ্ধে বর্তমানে অন-লাইন মিডিয়া যেভাবে অপ-প্রচার চালাচ্ছে তাতে আগামীতে আরও ভয়াবহ রুপ নেয়াটাই স্বাভাবিক।তাই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির নীতি নির্ধারনী ব্যক্তিদের উচিত প্রকৃত অন-লাইন এক্টিভিস্টদের মূল্যায়ণ করা।

মন্তব্য করুন