
বাংলাদেশ পুলিশের বার্ষিক আযান, কেরাত ও রচনা প্রতিযোগিতা-২০২৫ এর পুরস্কার বিতরণী আজ শুক্রবার (২১ মার্চ) বাদ জুমা রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে বাংলাদেশ পুলিশ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ বাহারুল আলম বিপিএম অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মোঃ মতিউর রহমান শেখ। এসময় ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যগণ এবং বিপুলসংখ্যক মুসল্লি উপস্থিত ছিলেন।
আইজিপি বলেন, পুলিশ সদস্যদের মধ্যে ধর্মীয় চর্চার অনুশীলনের অংশ হিসেবে প্রতি বছরের মতো এবারও আযান, কেরাত ও রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। এ অনুষ্ঠান আমাদেরকে ধর্মের প্রতি ঐকান্তিকতা ও নিষ্ঠার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
প্রতিযোগীদের উদ্দেশে আইজিপি বলেন, আপনাদেরকে পুলিশি কার্যক্রমে ব্যস্ত থাকতে হয়। তবুও আপনারা আযান ও কেরাত চর্চা করে যাচ্ছেন, যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।
পুলিশ প্রধান সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে প্রতিযোগিতার বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন করায় বিচারকগণকে ধন্যবাদ জানান।
পরে আইজিপি বিজয়ীদের হাতে ক্রেস্ট, সনদপত্র ও পুরস্কার তুলে দেন।
প্রতিযোগিতায় আযানে প্রথম হয়েছেন র্যাব-৮, বরিশালের এএসআই সিরাজুল ইসলাম, দ্বিতীয় হয়েছেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের এএসআই (সশস্ত্র) মোঃ ওমর ফারুক এবং তৃতীয় হয়েছেন যৌথভাবে যথাক্রমে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের এএসআই (নিরস্ত্র) এম মহিউদ্দিন এবং ৩ এপিবিএন, শিরোমনি, খুলনার নায়েক আবু মুসা।
কেরাতে প্রথম হয়েছেন ৩ এপিবিএন, শিরোমনি, খুলনার নায়েক আবু মুসা, দ্বিতীয় হয়েছেন পুলিশ স্টাফ কলেজ বাংলাদেশ-এর নায়েক খান হাসিবুর রহমান এবং তৃতীয় হয়েছেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের এএসআই (সশস্ত্র) মোঃ ওমর ফারুক।
কেরাতে নারী পুলিশ সদস্যদের মধ্যে বিজয়ী হয়েছেন ১১ এপিবিএন, উত্তরা, ঢাকার কনস্টেবল নাদিয়া নাছরিন নূপুর।
‘ইসলাম ও নাগরিকের অধিকার’ শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছেন পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এএসআই (নিরস্ত্র) মোঃ মারুফুল ইসলাম, দ্বিতীয় হয়েছেন যৌথভাবে যথাক্রমে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কনস্টেবল মেহেদী হাসান এবং স্পেশাল ব্রাঞ্চের উচ্চমান সহকারী শেখ রেজাউল কবীর এবং তৃতীয় হয়েছেন ৩ এপিবিএন, শিরোমনি, খুলনার কনস্টেবল মোঃ ইনামুল হাসান।
বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট থেকে বাছাইকৃত পুলিশ সদস্যগণ ঢাকায় চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। অনুষ্ঠানে আযান ও কেরাতে প্রথম স্থান অধিকারীগণ আযান দেন এবং কোরআন তেলাওয়াত করেন।