বর্তমান প্রজন্মের অধিকাংশ মানুষই স্বাস্থ্য সচেতন। নিজেকে ফিট রাখার জন্য নানাভাবে চেষ্টা চালান তারা। এরপরও অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে স্বাস্থ্য বেড়ে গেলে তা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। তবে কখনো কখনো ব্যস্ততা কিংবা অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাসের কারণে স্বাস্থ্য অতিরিক্ত বেড়ে যায়। আর ঠিক তখনই বাধে বিপত্তি।

সুস্থ থাকার জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া খুবই জরুরি। স্বাস্থ্যসচেতন অনেকেই তাই খাদ্যতালিকায় পুষ্টিকর খাবার রাখেন। আর পুষ্টিকর খাবার হিসেবে সময়ের সঙ্গে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে চিয়া সিড। সালভিয়া হিসপানিকা নামক মিন্ট প্রজাতির উদ্ভিদের বীজ চিয়া সিড। আমাদের শরীরে চিয়া সিড কি ভূমিকা রাখে সে বিষয়ে অনেকেই জানে না। পাশাপাশি চিয়া সিড খাওয়ার সঠিক সময় আছে এটাও অজানা অনেকের কাছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে চিয়া সিডের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন পুষ্টিবিদরা।

পুষ্টিবিদরা বলছেন চিয়া সিডের পুষ্টিগুণ অনেক। পুষ্টিগুণের কারণে একে সুপারফুড বলা হয়। চিয়া সিডে আছে, এতে আছে কোয়েরসেটিন, কেম্পফেরল, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড ও ক্যাফিক অ্যাসিড নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, এবং দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় খাদ্য আঁশ।

যারা ওজন কমাতে চান তাদের জন্য চিয়া সিড দারুণ উপকারী। পুষ্টিবিদরা বলেন, চিয়া সিডে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার আছে। সারাদিনে নিয়ম করে চিয়া সিড খেলে অনেক সময় পেট ভরা থাকে যার ফলে ঘনঘন ক্ষুধা লাগে। চিয়া সিড খেলে পুষ্টির অভাব হয় না আবার পেট ভরা থাকে তাই কোনো ঝামেলা ছাড়াই ওজন নিয়ন্ত্রণে আসে।

চিয়া সিড খাওয়ার সময়: ফাইবারে ঠাসা চিয়া সিড হজম করতে সময় লাগে। তাই রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ভুলেও এটা খাওয়া যাবে না। কারণ, এতে ঘুমের সময়ে অস্বস্তিই হতে পারে। চিয়া সিড খেলে পেট ভর্তি হয়ে যায়। তাই কোনও মিলের আগে চিয়া সিড না খাওয়াই ভালো বলছেন পুষ্টিবিদরা। অন্যদিকে, ওয়ার্কআউটের আগে চিয়া বীজ খেলে পেট ভর্তি থাকে। আর ভরা পেটে ওয়ার্ক আউট করতে অসুবিধা হবেই। পাশাপাশি একটা অস্বস্তিও কাজ করে।

পাশাপাশি মনে রাখতে হবে, শুকনো চিয়া সিড ভুলেও খাবেন না। বরং চিয়া সিড ডায়েটে রাখলে পানি বেশি পান করতে হবে। কারণ চিয়া বীজ পেটে গিয়ে পানি শুষে নেয়। তাই পানি বেশি পান না করলে ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি থেকে যায়।